গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তনের সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। মেধা তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় পাবে বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে গুচ্ছ কমিটির ভার্চুয়াল এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে উপাচার্য বলেন, আমরা সব শিক্ষার্থীর ভালো চাই। তাছাড়া আদালত ও শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তনের সুযোগ পুনরায় চালু করা হয়েছে। যেহেতু খুব বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হতে বাকি নেই, সে বিবেচনা করে আমরা মাইগ্রেশনের সিদ্ধান্ত আবার চালু করেছি। কিন্তু এতে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে আরেকটু বেশি সময় লাগবে।
এসময় সপ্তম মাইগ্রেশনের বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু সপ্তম মাইগ্রেশন প্রকাশ হয়ে গেছে এটা বাতিল করা হবে না। তবে বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে বিশেষ বিবেচনা করা হবে। তবে এ বিষয়ে বিশেষ কিছু জানাননি তিনি।
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন আহমদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মাইগ্রেশন চালু করা হয়েছে। এসময় সপ্তম মাইগ্রেশন বাতিল হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এত কিছু জানিনা। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মাইগ্রেশন চালু থাকবে। আদালত নোটিশে যা বলেছে তাই হবে। সপ্তম মাইগ্রেশন বাতিলের ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তনের সুযোগ অব্যাহত থাকার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে রায়হান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, গুচ্ছ কমিটির এ সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। একইসাথে গুচ্ছ কমিটির স্যারদের নিকট একটাই দাবি গোলমাল পূর্ণ সপ্তম মেরিট বাতিল করে পুনরায় ভর্তি প্রক্রিয়া সুন্দরভাবে চালু হোক।
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর সপ্তম মেধাতালিকা প্রকাশ করে গুচ্ছ কমিটি। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তনের সুযোগ বন্ধ করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয় তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট থেকে রুল জারি হয়। একদিন পর এ সিদ্ধান্ত নেয় গুচ্ছ কমিটি।